অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে চলা, না ভবিষ্যৎ-এর চিন্তা করে বর্তমানকে উন্নত করা। কোনটা করা ঠিক তা সময়ের মাপকাঠিতে বলা খুব কঠিণ।
গতানুগতিক/আধুনিক নাকি চিন্তাশীলতা কোনটা বর্তমানে প্রয়োজন? কেউ নিজের কৃতিত্বের কথা নিজের মুখে বললে, সেটা হয় অহংকার, আর অপরে বললে সেটা অলংকার? এ কেমন নিয়ম!
তালে তাল দেওয়া বা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার লোকের অভাব নেই, কিন্তু সত্যি কথাটা মুখের উপর বলার লোক দূর্বীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমস্যা অনেক থাকতেই পারে, ভুল অনেক থাকতেই পারে কিন্তু একটা শান্তনা বা উৎসাহ দিয়ে ঠিক পথটা ধরিয়ে দেওয়া, ঠিক কাজটা করিয়ে নেওয়ার লোকের অভাব।
জীবনটা একটা ছন্দ, সুর-তালের মোড়ক নয়, যেটা গানের তালে তালে বাজতে থাকবে। জীবনটা একটা সংগ্রাম, আদর্শ অনুসর করে জীবন বিপন্ন করার একটা লড়াই।
ছোট্ট জীবন, একদিন শেষ হবেই। কিন্তু কিছু কথা , কিছু ভালো ব্যবহার থেকে থেকে যায় স্মৃতির অতল গভীরে। সেই সুখ স্মৃতির পরশ সবাই পায় না। যারা পায় তারা ভাগ্যবান।
আমার জীবনটা শুরু হয়ে ছিলো শিক্ষকতা দিয়ে। প্রাইভেট টিউশন থেকে প্রাইভেট স্কুল শিক্ষক। কোন ক্ষেত্রেই পরিশ্রমের খাঁকতি করিনি। কামাই করা আমার ধাতে ছিল না।
একটি খ্রীষ্টান মিশনারি স্কুল সেন্ট থমাস মার থমা স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অল্প হলেও স্কুলটা আমার কাছে ছিলো একটা পরিবারের মতো। একটা মায়ার বন্ধনে সাড়ে ছয় বছর কাটিয়েছিলাম।
অনেক নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে এই স্কুলে শিক্ষকতা করতে হতো। আমি কিছু গতানুগতিকতার উর্ধ্বে উঠে কিছু কাজ করতাম। যেমন প্রতিদিন নিয়ম করে টিফিন টাইমে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রেণীর অভিভাবকদের সাথে সাক্ষাত করতাম। তাদের সমস্যার কথা শুনতাম। এবং একটা ছোট্ট ডাইরিতে নোট করে, সাধ্যমতো সমাধান করতাম।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টিফিন টাইমে নিজে টিফিন না খেয়ে ওদেরকে একস্ট্রা ক্লাস নিতাম । এটা কয়েক বছর করেছিলাম, তাতে অনেক দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি হয়েছিলো। কিন্তু কোন কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ মানা করায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
আসলে সেই পরিশ্রমও ছিলো গতানুগতিকার বাইরে। ইট-কাঠ-পাথরে বিল্ডিং এ কিভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব সেটাই আমার চিন্তাভাবনা আগেও ছিলো এখনও আছে। লোকে বিদ্রুপ ব্যঙ্গ করে আমাকে বলতে পারে পাগল! তাতে আমি কিছু মনে করি না, কারণ মানুষের ভালো করা, মানুষের ভাবাবেগের মূল্য দেওয়ার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়। যারা করে তারা তো মূল্যহীন হবেই! কি বলুন বন্ধুরা?
তবে জনতা-জনার্দনের বিচার সব থেকে বড় বিচার। ১০টা মানুষ টিটকিরি করলেও, বাকি ৯০টা মানুষ কিন্তু বোঝে কোন কাজটা ঠিক আর কোনটা ভুল!
আমি যদি কিছু ভুল করে থাকি, তার জন্য আমি অনুতপ্ত। সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আর যদি কিছু ঠিক করে থাকি সেটা আপনাদের আশির্বাদে সম্ভব হয়েছে। স্কুল থেকে অফিস সর্বক্ষেত্রে পুরস্কারের পাশাপাশি তীরস্কারও থাকবে। সহযোগিতার থেকে বেশী প্রতিযোগিতা থাকবে। এটা চিরাচরিত। তবুও মনের কোনে কান্না জমে ওঠে। মনে হয় এ জীবনে কি আছে! কেন আমি বেঁচে আছি? একটু শান্তি পাবো কবে?
আসলে জীবনে আমি বড় ক্লান্ত আবার চিরবিশ্রাম চাই। মাটির কোলে মাথা রেখে চিরনিদ্রায় শয়ন করে যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিচিহ্নগুলোকে চিরতরে মুছে ফেলতে চাই। ভালো থেকো বন্ধু।@m4tmc Home Posts Reviews Videos Photos Events About Community Jobs Groups Info and Ads Promote Manage Promotions
গতানুগতিক/আধুনিক নাকি চিন্তাশীলতা কোনটা বর্তমানে প্রয়োজন? কেউ নিজের কৃতিত্বের কথা নিজের মুখে বললে, সেটা হয় অহংকার, আর অপরে বললে সেটা অলংকার? এ কেমন নিয়ম!
তালে তাল দেওয়া বা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার লোকের অভাব নেই, কিন্তু সত্যি কথাটা মুখের উপর বলার লোক দূর্বীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমস্যা অনেক থাকতেই পারে, ভুল অনেক থাকতেই পারে কিন্তু একটা শান্তনা বা উৎসাহ দিয়ে ঠিক পথটা ধরিয়ে দেওয়া, ঠিক কাজটা করিয়ে নেওয়ার লোকের অভাব।
জীবনটা একটা ছন্দ, সুর-তালের মোড়ক নয়, যেটা গানের তালে তালে বাজতে থাকবে। জীবনটা একটা সংগ্রাম, আদর্শ অনুসর করে জীবন বিপন্ন করার একটা লড়াই।
ছোট্ট জীবন, একদিন শেষ হবেই। কিন্তু কিছু কথা , কিছু ভালো ব্যবহার থেকে থেকে যায় স্মৃতির অতল গভীরে। সেই সুখ স্মৃতির পরশ সবাই পায় না। যারা পায় তারা ভাগ্যবান।
আমার জীবনটা শুরু হয়ে ছিলো শিক্ষকতা দিয়ে। প্রাইভেট টিউশন থেকে প্রাইভেট স্কুল শিক্ষক। কোন ক্ষেত্রেই পরিশ্রমের খাঁকতি করিনি। কামাই করা আমার ধাতে ছিল না।
একটি খ্রীষ্টান মিশনারি স্কুল সেন্ট থমাস মার থমা স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অল্প হলেও স্কুলটা আমার কাছে ছিলো একটা পরিবারের মতো। একটা মায়ার বন্ধনে সাড়ে ছয় বছর কাটিয়েছিলাম।
অনেক নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে এই স্কুলে শিক্ষকতা করতে হতো। আমি কিছু গতানুগতিকতার উর্ধ্বে উঠে কিছু কাজ করতাম। যেমন প্রতিদিন নিয়ম করে টিফিন টাইমে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রেণীর অভিভাবকদের সাথে সাক্ষাত করতাম। তাদের সমস্যার কথা শুনতাম। এবং একটা ছোট্ট ডাইরিতে নোট করে, সাধ্যমতো সমাধান করতাম।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টিফিন টাইমে নিজে টিফিন না খেয়ে ওদেরকে একস্ট্রা ক্লাস নিতাম । এটা কয়েক বছর করেছিলাম, তাতে অনেক দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি হয়েছিলো। কিন্তু কোন কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ মানা করায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
আসলে সেই পরিশ্রমও ছিলো গতানুগতিকার বাইরে। ইট-কাঠ-পাথরে বিল্ডিং এ কিভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব সেটাই আমার চিন্তাভাবনা আগেও ছিলো এখনও আছে। লোকে বিদ্রুপ ব্যঙ্গ করে আমাকে বলতে পারে পাগল! তাতে আমি কিছু মনে করি না, কারণ মানুষের ভালো করা, মানুষের ভাবাবেগের মূল্য দেওয়ার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়। যারা করে তারা তো মূল্যহীন হবেই! কি বলুন বন্ধুরা?
তবে জনতা-জনার্দনের বিচার সব থেকে বড় বিচার। ১০টা মানুষ টিটকিরি করলেও, বাকি ৯০টা মানুষ কিন্তু বোঝে কোন কাজটা ঠিক আর কোনটা ভুল!
আমি যদি কিছু ভুল করে থাকি, তার জন্য আমি অনুতপ্ত। সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আর যদি কিছু ঠিক করে থাকি সেটা আপনাদের আশির্বাদে সম্ভব হয়েছে। স্কুল থেকে অফিস সর্বক্ষেত্রে পুরস্কারের পাশাপাশি তীরস্কারও থাকবে। সহযোগিতার থেকে বেশী প্রতিযোগিতা থাকবে। এটা চিরাচরিত। তবুও মনের কোনে কান্না জমে ওঠে। মনে হয় এ জীবনে কি আছে! কেন আমি বেঁচে আছি? একটু শান্তি পাবো কবে?
আসলে জীবনে আমি বড় ক্লান্ত আবার চিরবিশ্রাম চাই। মাটির কোলে মাথা রেখে চিরনিদ্রায় শয়ন করে যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিচিহ্নগুলোকে চিরতরে মুছে ফেলতে চাই। ভালো থেকো বন্ধু।@m4tmc Home Posts Reviews Videos Photos Events About Community Jobs Groups Info and Ads Promote Manage Promotions
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন