বৃষ্টি ভেজা রাত।
শোয়ার আগে বাথরুম থেকে ঘুরে আসার পর।
একটা জোঁক ডান হাতের উপর বসে সুরসুর আরামের বদলে কুটুস কুটুস শুরু করল।
শোয়ার ঘরে নুন ছিলো না।
সবাই শুয়ে পড়েছিল।
একটা এক্সপেরিমেন্ট করলাম।
পারফিউম বের করে জোঁকের উপর স্প্রে করে দিলাম।
জোঁকটা সঙ্গে সঙ্গে খসে পড়ে গেল।
জোঁকের রক্তের স্বাদ চাই, তাই সুগন্ধ সহ্য করতে পারলো না।
তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা একটু অন্যরকম হতে পারে
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।
শিক্ষণীয়: জোঁকের স্বভাব যুক্ত মানুষরা ভালো ব্যবহার সহ্য করতে পারে না।
আপনার ভালো ব্যবহার তাদের বিষাক্ত মনে সন্দেহ এনে দেয়।
আর অতিরিক্ত ভালো ব্যবহার করলে তাঁরা মানসিক চিন্তায় হার্ট অ্যাটাকেও আক্রান্ত হতে পারেন।
অপরদিকে
জোঁকের স্বভাব আরামদায়কভাবে রক্ত চুষে খাওয়া।
জোঁক চোষক দ্বারা রক্ত খাওয়ায় সময় রক্তদাতা ঘুণাক্ষরেও টের পায় না।
সম্ভিত ফেরে রক্ত খাওয়া হয়ে গেলে।
শিক্ষণীয়: যারা অপরের ক্ষতি করে বেড়ায়, তাঁকে কেউ আগে থেকে চিহ্নিত করতে পারে না।
কারণ সুরসুরি যুক্ত আরামে আপনি মোহগ্রস্ত হয়ে থাকেন।
আপনার ক্ষতি সুসম্পন্ন হলে তখন বুঝতে পারবেন, কতটা ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল।
উপকারীতা: জোঁক রক্তে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো উৎসেচক মিশিয়ে দেয়।
জোঁকের লালায় থাকা এই উৎসেচকগুলি রক্তের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে।
হিরুডিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট। জোঁকের লালায় থাকা এই উৎসেচক রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
উপসংহার: সব খারাপের মধ্যেও ভালো কিছু থাকবেই। অতএব ভালো কিছু ভাবার বা দেখার চেষ্টা করুন। ধনাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। দেখবেন, আপনার জীবনেও ভালো কিছু শ্রীঘ্রই আসবে।
জোঁক যুগ যুগ জিওওওও